টেস্ট ক্রিকেটকে আগেই বিদায় জানিয়েছেন মঈন আলি। অবশ্য মাঝে ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকসের ডাকে অ্যাশেজে ফিরেছিলেন। সবশেষ অ্যাশেজ শেষেই বিদায়ও জানান ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় জানালেন তিনি।
বিদায় জানানোর বিষয়টি ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলকে নিশ্চিত করেছেন মঈন। সংবাদ মাধ্যমটিকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় জানিয়েছেন কেন জাতীয় দলের হয়ে আর খেলার স্বপ্ন দেখছেন না তিনি। ৩৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডার বলেছেন,‘আমার বয়স এখন ৩৭ বছর। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য আমি ডাক পাইনি। ইংল্যান্ডের হয়ে প্রচুর ম্যাচ খেলেছি। এখন সময় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের। যা আমাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমার অধ্যায় শেষ করার জন্য মনে করি এটাই সঠিক সময়।’
কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ডেভিড ম্যালানও। ইংল্যান্ডের এই ব্যাটারও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সুযোগ না পাওয়ার পরেই জাতীয় দলের হয়ে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এবার মঈনও সতীর্থের দেখানো পথেই অবসর নিলেন। তবে এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, দলের হয়ে খেলার জন্য এখন যথেষ্ট ফিট আছেন তিনি। এতে দীর্ঘ ১০ বছরের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটল।
২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মঈনের। এরপর তিন সংস্করণে একটা সময় সমান তালে খেলেছেন বাঁহাতি ব্যাটার। তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হয়ে থাকল এ বছরের জুনে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি। দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে ইংল্যান্ডের হয়ে ২৯৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। রান করেছেন সব মিলিয়ে ৬৬৭৮। ৮ সেঞ্চুরির বিপরীতে আছে ২৮ ফিফটি। আর সবমিলিয়ে অফস্পিনে নিয়েছেন ৩৬৬ উইকেট।
ক্যারিয়ারে সবমিলিয়ে দুটি বিশ্বকাপ জিতেছেন মঈন। ইংল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়াকে স্মরণীয় মুর্হূত বলে জানিয়েছেন তিনি। ৩৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার বলেছেন,‘অ্যাশেজ এবং দুটি বিশ্বকাপ জয় ছিল দুর্দান্ত। ব্যক্তিগতভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওভালে জয়ের ম্যাচে আমার হ্যাটট্রিকের মুহূর্তটি। এ ছাড়া ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটি করতে পেরে আমি গর্বিত (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৬ বলে)।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেও ঘরোয়া ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন মঈন। আর খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার শেষে কোচিং পেশায় নিজেকে যুক্ত করতে চান তিনি। তিন বলেছেন,‘আরো কিছুদিন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যাবো। কারণ খেলতে এখনো ভালোবাসি। তবে কোচিং এমন কিছু যা আমি চাই। এখানে সেরা হতে চাই। বাজের (ব্রেন্ডন ম্যাককালাম)কাছে অনেক কিছু শিখতে পারব।’