দুই দলের শক্তি-সামর্থ্যের পার্থক্য বিস্তর। তার প্রমাণও মিলেছে মাঠের পারফরম্যান্সে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্কটল্যান্ডকে একদম উড়িয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডকে তাদের মাঠেই তিন ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই করেছে মিচেল মার্শের দল।
ধবলধোলাইয়ের ম্যাচে আজ ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ১৫০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২৩ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। তাড়া করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ম্যাচের মতো আজও ডাক মেরে আউট হন জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগ্রার্ক। প্রথম ম্যাচের ৩ বলের বিপরীতে আজ ৪ বল খেলেছেন এই ওপেনার। দলীয় ১৮ রানের মাথায় দ্রুত আউট হন প্রথম ইনিংসে ২৫ বলে ৮০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা ট্রাভিস হেড। তৃতীয় ম্যাচে ১১ বলে ১২ রানে আউট হন।
শুরুতে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া অস্ট্রেলিয়ার হাল ধরেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ ও অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন। তৃতীয় উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন তারা। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ রানে মার্শ আউট হলে টিম ডেভিডের সঙ্গে জয়ের বাকি কাজটুকু প্রায় সেরেই ফেলেছিলেন গ্রিন। তবে জয় থেকে ১৯ রান দূরে থাকার সময় ২৫ রানে আউট হন ডেভিড। দুই সতীর্থ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারলেও গ্রিন ঠিকই পেরেছেন। ৬২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ৩৯ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫ ছক্কা ও ২ চারে। অন্যদিকে ৬ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যারন হার্ডি।
এর আগে বোলিংটাও দুর্দান্ত করেন গ্রিন। ৩৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে স্কটল্যান্ডকে লক্ষ্যটা বড় করতে দেননি তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন সমান ২টি করে উইকেট নেওয়া দুই পেসার হার্ডি ও শন অ্যাবোট। অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৪৯ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকেরা। স্কটল্যান্ড এই লক্ষ্যটা পায় ফিফটি করা ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেনের সৌজন্য। তিনে নেমে এই অলরাউন্ডার সমান ৩ ছক্কা ও চারে ৫৬ রান না করলে আরো কমে আটকে যেতে পারত স্কটল্যান্ড। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফম্যান্সের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন গ্রিন।
সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটা শিক্ষাই পেল স্কটল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে তাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ১৫০ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। পাওয়ার প্লেতে ১১৩ রান করে গড়ে বিশ্বরেকর্ড। আর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭০ রানের জয় পায়। এ ম্যাচে আবার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি রেকর্ড গড়েছেন জশ ইংলিস। ৪৩ বলে সেঞ্চুরি করে নিজের রেকর্ডই ভেঙেছেন তিনি। অ্যারন ফিঞ্চ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করে এতদিন রেকর্ডের মালিক ছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে রেকর্ডেটা একার করে নেন তিনি।