ক্রিকেটে কব্জির প্রদর্শনটা দারুণ করতে পারেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটার। চার-ছক্কার যুগে তাদের মূল লক্ষ্যই যেন থাকে ব্যাটিংয়ে নেমে যে কয়টা বল পাবেন তা স্টেডিয়াম ছাড়া করবেন। স্যার ভিভ রিচার্ডসন থেকে ক্রিস গেইল, আর এখন হালের নিকোলাস পুরান-শিমরন হেটমায়াররা সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
ছক্কা মারার নেশায় গতকাল একটা রেকর্ডই দিলেন পুরান। এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার। সিপিএলে ৯ ছক্কা হাঁকিয়ে ৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। এতদিন রেকর্ডটির মালিক ছিলেন ‘ইউনিভার্স বস’ খ্যাত গেইল। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ১৩৫ ছক্কা মারেন তিনি। তার সেই রেকর্ড গতকাল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে ৯ ছক্ক্ মেরে নিজের করে নিয়েছেন পুরান।
সেটিও আবার এখনো বছর শেষ হওয়ার ৪ মাস বাকি থাকতে। পুরানের ১৩৯ ছক্কার সংখ্যা যে আরো বড় হতে যাচ্ছে তা আর না বললেও চলে। এর আগে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বছরে কমপক্ষে ১০০ ছক্কা হাঁকানো খোলোয়াড় হিসেবে নাম লিখিয়েছিলেন পুরান। তার আগে এই কীর্তি গড়েন গেইল ও আন্দ্রে রাসেল। এখন পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সংস্করণে কমপক্ষে ১০০ ছক্কা মারার ৮ টি ঘটনা আছে। যার ৬ টির মালিক গেইল। বাকি দুইটির একটি রাসেলের, ২০১৯ সালে ১০১ ছক্কা হাঁকান। আর বাকিটি পুরানের, ১৩৯ সংখ্যাকে কোথায় নিয় যান সেটাই এখন দেখার বিষয়।
১৩৫ ছক্কা মারতে গেইল মাত্র ৩৬ ম্যাচ খেলেছিলেন। সেখানে বাঁহাতি ব্যাটারকে পেছনে ফেলতে পুরানকে খেলতে হয়েছে ৫৭ ম্যাচ। সেন্ট কিটস এন্ড নেভিস পেট্রিয়টসের বিপক্ষে ৪৩ বলে ৯৭ রানের ইনিংস খেলে আরেকটা রেকর্ড নিজের করে নেওয়ার পথে। তার জন্য অবশ্য বছর শেষ হওয়ার বাকি ৪ মাসে ১৯৩ রান করতে হবে। বছরে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ২০৩৬ রান করে শীর্ষে আছেন মোহাম্দ রিজওয়ান। ২০২১ সালে এই রেকর্ড গড়ার পথে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ২০০০ রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটার। বর্তমানে ১৮৪৪ রান নিয়ে বছরে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় তিনে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটরক্ষক ব্যাটার পুরান। দুই উইকেটরক্ষকের মাঝে ২০২২ সালে ১৯৪৬ রান করে আছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ওপেনার অ্যালেক্স হেলস।